অর্থনৈতিক ও মানবিক সংকটে জর্জরিত আফগানিস্তানে দেড় কোটিরও বেশি মানুষ খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে। দুর্ভিক্ষের মধ্যে আছে ২৮ লাখ মানুষ।ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস এর এক প্রতিবেদনে বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজ।

সংকটময় এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, গত তিন বছরের খরা ও দুই বছরের অর্থনৈতিক সংকটে তীব্র অভাবের মুখে পড়েছে আফগানরা।

অর্থনীতিবিদ সেয়ার কোরেশি বলেন, `এই মুহূর্তে আফগান সরকারকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে মানবিক সহায়তার ব্যাপারে কথা বলা উচিত। দেশটিতে মানবিক সংকট মোকাবিলায় এটি খুবই জরুরি।

তালেবান অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটির উন্নয়ন খানে আন্তর্জাতিক সহায়তা দেওয়া হয়নি। অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার বড় অর্থনৈতিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্দুল লতিফ নাজারি বলেন, এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সহায়তা শুধুমাত্র মানবিক কাজে ব্যয় করা হয়েছে। কোন অর্থনৈতিক প্রকল্পে যুক্ত করা হয়নি।

তিনি বলেন, আমরা বড় অর্থনৈতিক প্রকল্পের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে আকৃষ্ট করতে চাই। এতে করে দারিদ্র কমবে এবং কর্মসংস্থান নিশ্চিত হবে।

কাবুলে বাসিন্দারা অভিযোগ করছেন, তারা অর্থকষ্টে রয়েছে। তাদের উদ্যোক্তা ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের প্রতি সরকারেরর বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত।

দাউদ নামে এক বাসিন্দা বলেন, `আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো টাকা এমনভাবে দেয় যেন যাদের প্রয়োজন তারাই যেন সাহায্যটি পায়। অথচ আমরা সবাই সংকটে। শীত ঘনিয়ে আসছে, মানুষ কিভাবে তাদের জ্বালানি সংগ্রহ করবে?

২০২১ সালে কাবুল দখলের পর আফগান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে ত্রাণ সংস্থাগুলো। এই দুই বছরে দেশটিতে বেড়েছে দারিদ্র্য ও সংকট।