ভয়াবহ দাবানলে পুড়ে তছনছ যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই রাজ্যের মাউই। আজ রোববার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৯ জনে দাঁড়িয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এতে নিখোঁজ রয়েছে আরও কয়েকশ’ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবেচেয়ে প্রাণঘাতী দাবানল। খবর বিবিসি ও টিআরটি ওয়ার্ল্ডের।

হাওয়াই-এর অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, দাবানল মোকাবিলায় কর্তৃপক্ষ কীভাবে সাড়া দিয়েছে- তা নিয়ে তিনি একটি তদন্ত শুরু করেছেন। এর আগে গভর্নর জোস গ্রিন দিনটিকে ‘হৃদয়বিদারক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। গতকাল শনিবার তিনি সতর্ক করে জানান, মৃতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যহারে বাড়তে পারে।

জোস গ্রিনও এ দাবানলকে হাওয়াইয়ের সবচেয়ে খারাপ প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তবে দাবানল এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে বলে জানান তিনি।

এর আগে জোস গ্রিন বলেন, রাজ্যের ঐতিহাসিক নগরী লাহাইনার অন্তত এক হাজার ৭০০ ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে হাজার হাজার লোক। শহরের ৮০ শতাংশ এলাকা দাবানলের আগুনে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।

ফেডারেল এমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির (এফইএমএ) একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জেরেমি গ্রিনবার্গ বলেছেন, দাবানলে উদ্ধারকাজের জন্য অতিরিক্ত আরও সহায়তা পাঠানো হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অঞ্চলটিতে গত মঙ্গলবার প্রথম এ দাবানলের সূত্রপাত হয়। পরবর্তী সময়ে হারিকেন ডোরার প্রভাবে তৈরি হওয়া প্রচণ্ড বাতাসের কারণে ব্যাপকভাবে তা ছড়িয়ে পড়ে।

ইতিমধ্যে মাউই থেকে ১৪ হাজার পর্যটককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় এখনো অনেক মানুষের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি ভবন পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বা ছাই হয়ে গেছে।

আগুনের কবল থেকে বেঁচে যাওয়া লাহাইনা শহরের বাসিন্দারা বলেছেন, তাদের বাড়ির দিকে যখন দাবানলের আগুন এগিয়ে আসছিল তখনও তাদের হুঁশিয়ার করার জন্য কোনো সতর্কসংকেত দেওয়া হয়নি। মাউই-এর প্রায় ১১ হাজার মানুষ এই দুর্যোগের মধ্যে বিদ‍্যুৎহীন অবস্থায় আছে।

উদ্ধার অভিযান এবং আগুন নেভানোর কার্যক্রম চলছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।