পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে জয়ের খুব কাছাকাছি ছিল ভারত। কিন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলারদের নৈপুণ্যে শেষ পর্যন্ত আর পারেনি তারা।

মাঝারি পুঁজি নিয়েও তাদের ৪ রানে হারিয়ে জয়ের আনন্দে ভাসল ক্যারিবিয়ানরা।
ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে মন্থর উইকেটে আগে বব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ করে ১৪৯ রান। জবাব দিতে নেমে ১৪৫ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে থেমে যেতে হয় ভারতকে।

টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই কাইল মেয়ার্সকে (১) হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩ রান করে ফেরত যান জনসন চার্লসও। তবে একপ্রান্তে জড়ো ব্যাট চালান ব্র্যান্ডন কিং। ২৮ রান করে তিনি শিকার হন যুযবেন্দ্র চাহালের। এরপর দলকে টানেন নিকোলাস পুরান ও রভম্যান পাওয়েল। ৪০ বলে ৩৮ রানের জুটি গড়েন দুজন।

পঞ্চদশ ওভারের প্রথম বলে পুরানকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন ভারতের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। ৩৪ বলে ৪১ রান করে বিদায় নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিপার ব্যাটার। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি পাওয়েলও। ৩২ বলে ৩টি করে ছক্কা ও চারে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন ক্যারিবিয় অধিনায়ক। শেষদিকে শিমরন হেটমায়ারের ১০ রানে মাঝারি সংগ্রহ পায় তারা।

জবাব দিতে নামা ভারতের ওপেনিং জুটি সাফল্য এনে দিতে পারেনি। শুভমান গিল ৩ ও ইশান কিষান ৬ রানে বিদায় নেন। কিছুক্ষণ টিকে থাকেন তিনে নামা সূর্যকুমার যাদব। তিনি করেন ২১ বলে ২১। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ রান তোলেন অভিষিক্ত তিলক ভার্মা। ২২ বলে ৩ ছক্কা ও ২ চারে খেলেন ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংস।

দলের যখন ৩০ বলে দরকার ৩৭ রান। তখন ক্রিজে ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া ও সাঞ্জু স্যামসন। কিন্তু ব্যর্থ হন তারা। ষোড়শ ওভারে হোল্ডারের বলে পান্ডিয়া বোল্ড হয়ে বিদায় নেন ১৯ রান করে। এক বল পরেই মেয়ার্সের সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট হয়ে যান স্যামসন (১২)। এখানেই বদলে যায় খেলার চিত্র।

শেষ দুই ওভারে ২১ রান দরকার ছিল ভারতের। কিন্তু আকসার প্যাটেল ১৩ রান করে বিদায় নিলে ভেঙে যায় স্বপ্ন। আর্শদিপ কিছুক্ষণ লড়াই চালালেও ১২ রানে রান আউট হয়ে সাঝঘরে ফিরতে হয়। শেষ ওভারে ১০ রান প্রয়োজন ছিল সফরকারীদের। এই ওভারে ৫ রানের বেশি নিতে পারেনি তারা। ‍উইকেটও হারায় ২টি।