দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়ায় গত রোববার (২৩ জুলাই ২০২৩) অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন দল কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টি (সিপিপি)। প্রধান বিরোধীদল ছাড়া প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও কিছু বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচি স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, দেশটিতে গণতান্ত্রিক পরিস্থিতির অবনতির কারণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গণতন্ত্রের মর্যাদা নষ্ট করার মতো পরিস্থিতির সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেছেন, কম্বোডিয়ার নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। দেশটির প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সিপিপি দলের কোনো শক্ত বিরোধীদল নির্বাচনে ছিলো না।

ম্যাথিউ মিলার বলেন, নির্বাচনের আগে কম্বোডিয়ার সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজকে হুমকি দিয়েছে ও হয়রানি করেছে।দেশটির সংবিধানের মর্যাদা এতে ক্ষুণ্ন হয়েছে।কম্বোডিয়ার নির্বাচন আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হয়নি।

মিলার আরও বলেন, যারা গণতন্ত্রের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে, তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নির্দিষ্ট কিছু বিদেশি সহায়তাও স্থগিত করেছে দেশটি।

দীর্ঘ ৩৮ বছর দেশটির নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন ক্ষমতাসীন দল সিপিপির নেতা হুন সেন। এশিয়ার দীর্ঘমেয়াদি শাসকও তিনি। তার ৪৫ বছর বয়সী ছেলে এবং কম্বোডিয়ার সেনাপ্রধান হুন মানেট বলেন, দেশ পরিচালনার সক্ষমতা শুধু সিপিপির আছে।

সিপিপির পাশাপাশি ১৭টি দুর্বল দল এই নির্বাচনে অংশ নেয়। ক্ষমতাসীন দলটিকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো যাদের কোনো সক্ষমতা নেই। নির্বাচনের আগে থেকে দলগুলোকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল সরকারদলীয় লোকেরা। ফলে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১২৫টি আসনের মধ্যে ১২০টিতে জয়লাভ করেছে সিপিপি।