প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেসক্রিপশনে এবার কোনো নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব যাই বলুন না কেন, শেখ হাসিনার প্রেসক্রিপশনে এবার কোনো নির্বাচন হবে না। অবৈধভাবে সশস্ত্র শক্তি প্রয়োগ করে আর ক্ষমতায় যাওয়া যাবে না।’

আজ মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশের জনগণকে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর কাছে কৃপাপ্রার্থী বানানোর চেষ্টার অবসান ঘটিয়ে নিরপেক্ষ তত্ত্ববধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, সম্প্রতি টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমার লক্ষ্য দেশবাসীর ভাগ্য পরিবর্তন করা। ১৪ বছর ধরে অবৈধভাবে পুলিশের ডান্ডাতন্ত্রের শাসনের পর আর কবে আপনি মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করবেন?’

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে রিজভী বলেন,‘আপনার আসল লক্ষ্য আপনি বাস্তবায়ন করেছেন মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে, মানবাধিকার কেড়ে নিয়ে, ন্যায়বিচার কেড়ে নিয়ে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ দেশের সম্পদ লুট করে ফোকলা করে দিয়ে আপনি ৫-১০ টাকা কেজি কাচা মরিচকে এখন ১০০০ টাকায় উন্নীত করেছেন। সাধারণ মানুষকে আধপেটা খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। আপনার মনের ইচ্ছানুযায়ী রায় লিখিয়ে সেটি আদালতের মাধ্যমে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে সাজা দিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, বিএনপির অর্ধকোটি নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন। লাখ লাখ নেতাকর্মীকে বাড়িছাড়া, ঘরছাড়া ও এলাকাছাড়া করেছেন। আর যিনি ন্যায়বিচার করে রায় দিয়েছেন সেই বিচারককে আপনি দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছেন। নিজেদের আদর্শে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গড়ে তুলে বিরোধী দল দমনে লক্ষ্য পূরণ করে যাচ্ছেন। তবে এবার জনগণ অপশাসনের দিনের অবসান ঘটাবে। মানুষ গণতন্ত্র অর্জনের জন্য সকল প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামবে।

চলতি বছরের গত ১৯ মে থেকে আজ পর্যন্ত নেতাকর্মীদের নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে রিজভী বলেন, সারা দেশের প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী ২২০টি মামলায় ৯ হাজার ৯৬০ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮৫০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।