আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদ উপলক্ষে দলের নেতাকর্মী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও জনসাধারণের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করে থাকেন। কিন্তু এবার এসব আয়োজন দেখা যাবে না। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে তিনি জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে ঈদ উদযাপন করবেন না বলে গণভবন সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে রমজানের ঈদে সীমিত পরিসরে উদযাপন করলেও রমজানে বিলাসবহুল ইফতার থেকে বিরত থেকে অসহায় মানুষের পাশে থাকার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো কার্যসূচিতে দেখা যায়, ২৭ থেকে ৩০ জুন তার সরকারি ছুটি রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী ১ থেকে ২ জুলাই গোপালগঞ্জে অবস্থান করবেন। এ সময় টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ায় স্বল্প পরিসরে দুটি ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে ঈদ-পরবর্তী কুশল বিনিময় হবে এবং স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এর আগে ধারণ করা ভিডিওবার্তায় দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনা। শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি দেশবাসীকে ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে সবাই

মিলে ঈদ উদযাপনের আহ্বান জানাবেন। ধর্মীয় উৎসব এবং নববর্ষের আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের খোঁজ-খবর নেন এবং তাদের জন্য খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেন। সে ধারাবাহিকতা এবারও অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।