কিছু ফল পুষ্টিকরদের পছন্দের তালিকায় থাকলেও রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে। পুষ্টিবিদদের মতে, এসব ফল ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পরিমিত পরিমেণে খাওয়া উচিত। যদিও তারা ডায়াবেটিস রোগীদের সুষম খাদ্যের অংশ হিসাবে প্রতিদিন ফল খাওয়ার পরামর্শ দেয়। ফল এবং শাকসবজি হৃদরোগ এবং ক্যানসারের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে। শরীরে ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবারের ঘাটতি মেটাতে ফল একটি দুর্দান্ত বিকল্প। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের সতর্ক থাকতে হবে। কারণ কিছু ফলে চিনির পরিমাণ খুব বেশি থাকে।

তরমুজ

তরমুজ একটি রসালো ফল। গরমকালে এটি খেতে সবাই পছন্দ করে। কিন্তু তরমুজে চিনির পরিমাণ অনেক বেশি। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের খুব সীমিত পরিমাণে তরমুজ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখতে তরমুজকে কম জিআই (গ্লাইসেমিক ইনডেক্স) খাবারের সাথে একত্রিত করা যেতে পারে।

কলা

কলাতে উচ্চ মাত্রায় গ্লাইসেমিক ইনডেক্স রয়েছে। তবে বাদাম, পেস্তা এবং আখরোটের সাথে একটি ছোট কলা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা দইয়ের সাথে কলা মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি পুরো দিনের জন্য স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক হিসাবে একটি দুর্দান্ত বিকল্প হতে পারে। আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পরিপূর্ণ বোধ করাবে।

আম

স্বাদের কারণে আমকে ফলের রাজা বলা হয়। এ কারণেই এটি সবার কাছে প্রিয়। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের বিবেচনা করে এটি খাওয়া উচিত। আমে প্রায় ১৪ গ্রাম চিনি থাকে। যা ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে তুলতে পারে।

আনারস

আনারসে প্রায় ১৬ গ্রাম চিনি থাকে। এটি কাঁচা খাওয়া যেতে পারে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের পরে মিষ্টি হিসাবে উপভোগ করা যেতে পারে।

লিচু

লিচু গ্রীষ্মের অন্যতম জনপ্রিয় ফল। এটি বেশ রসালো। এই ফলটিতে প্রায় ১৬ গ্রাম চিনি থাকে। এমন পরিস্থিতিতে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সীমিত পরিমাণে লিচু খাওয়া উচিত।