খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। প্রথমবারের মতো দুই সিটির সবগুলো কেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দেবেন ভোটাররা।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, খুলনা সিটি নির্বাচনে এবার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৮ জন ভোটার। নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের ২৮৯টি ভোটকেন্দ্র এবং ১ হাজার ৭৩২টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। ভোটগ্রহণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে দায়িত্বে রয়েছে ৫ হাজার ৭৬০ জন কর্মকর্তা।

এ নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক (নৌকা), জাতীয় পার্টি মনোনীত মো. শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মো. আব্দুল আউয়াল (হাতপাখা) ও জাকের পার্টি মনোনীত এসএম সাব্বির হোসেন (গোলাপফুল) এবং একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান মুশফিক (দেয়াল ঘড়ি)।

এছাড়া সাধারণ ৩১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে নগরীর ১৩নং ওয়ার্ডে এস এম খুরশিদ আহমেদ টোনা এবং ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে জেড এ মাহমুদ ডন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

অপরদিকে, বসিক নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন ৭ জন, সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে ১১৮ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৪২ প্রার্থী। এর মধ্যে সাধারণ ওয়ার্ডে একজন প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ৩০টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯, মহিলা ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯। ১২৬টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে। ১২৬ কেন্দ্রের ৮৯৪টি বুথের জন্য দেড় হাজার ইভিএম রাখা হয়েছে।

প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১৬ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্বে রয়েছে। পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ান আনসারের সমন্বয়ে প্রতি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে মোবাইল ফোর্স, ৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স, তিনটি ওয়ার্ডে একটি করে রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োজিত রয়েছে। প্রতি ২ ওয়ার্ডে একটি করে র‌্যাবের টিম ও ৫টি সাধারণ ওয়ার্ডে এক প্লাটুন করে বিজিবি নিয়োজিত থাকবে। এছাড়াও কেন্দ্র অনুযায়ী থাকবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের ভ্রাম্যমাণ আদালত টিম।