ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) চিত্রনায়ক আকবর পাঠান ফারুকের মৃত্যুর আগে থেকেই আসনটিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে আসছিলেন টিভি নাটকের জনপ্রিয় অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান। ফারুকের মৃত্যুর তিনি আরও জোরেসোরে এ দাবি করে আসছেন। তবে এ নিয়ে তার সমালোচনা করেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় খলঅভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। এবার সেই ডিপজলের সঙ্গে দেখা গেল সিদ্দিককে।

আজ দুপুরে ডিপজল ও জায়েদ খানের সঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদের কাছে যান সিদ্দিক। হারুনের সঙ্গে এ তিনজনের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসে। তখন থেকেই অনেকের মনে কৌতুহল সৃষ্টি হয়, কেন তারা ডিবি কার্যালয়ে।

হারুন অর রশীদের সঙ্গে দেখা করার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আমরা গিয়েছি।’

অন্যদিকে, সমালোচনা করলেও ডিপজলের সঙ্গে ডিবি কার্যালয়ে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আর বড় ভাইয়ের (ডিপজল) সঙ্গে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সেটাও সেখানে আলোচনা করে আমরা মিটিয়ে ফেলেছি।’

এর আগে এক ভিডিওবার্তায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ডিপজল বলেছিলেন, ‘মামা (ফারুক) যখন থেকে অসুস্থ, তখন থেকেই তিনি (সিদ্দিকুর) এমপি নির্বাচনের জন্য লাফালাফি শুরু করেছেন। তিনি এমপি নির্বাচন করতেই পারেন। তিনি না, যে কেউ নির্বাচন করতে পারেন। তবে উনি (ফারুক) মারা যাওয়া আগে এমন লাফালাফি করা কি ঠিক হয়েছে? শুধু তাই নয়, মামার লাশ কবরে না নামার আগেই উনি ঘোষণা দিয়ে দিলেন নির্বাচন করবেন। এতে চরম কষ্ট পেয়েছি এবং মনঃক্ষুণ্ন হয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘একটা মানুষকে ইজ্জত দিতে পারতেন। ফারুক যেমন তেমন মানুষ না! উনি তারকাদের কিংয়ের ওপরে। উনার মৃত্যুর ৭ দিন বা ৪০ দিন পর নির্বাচনের কথাটি প্রকাশ্যে আনতে পারতেন। এত লাফালাফি করাটা আপনার ঠিক হয়নি।’