সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদার এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সুপারিশ প্রণয়নে গঠিত কমিটির ১১১ দফা সুপারিশমালা বাস্তবায়নের জন্য গঠিত টাস্কফোর্সের সভা শেষে এ কথা জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘যখন দেশে জঙ্গির উত্থান হয়েছিল, আমাদের এখানে অগ্নি-সন্ত্রাসের একটা রাজত্ব হয়েছিল। তখন চারটি দূতাবাসকে রুট প্রোটেকশন দিতাম। এটা লিখিতভাবে দেওয়া হয়নি। তারাও আমাদের অনুরোধ করেনি। আমরাই তাদের দিয়েছিলাম, যাতে তারা কোনও রকম অসুবিধায় না পড়ে। আমরা চারটি দূতাবাসের বাইরে কাউকে দিইনি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি সেই পরিস্থিতি এখন নেই। যেহেতু সেই পরিস্থিতি নেই। সেজন্য এ রোড প্রোটেকশনটা উঠিয়ে নিয়েছি। এরপরও যদি কোনও রাষ্ট্রদূত মনে করেন তাদের প্রয়োজন হবে তাহলে আমরা নতুন করে আনসার গার্ড রেজিমেন্ট তৈরি করেছি, তারাই সেই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। এটা অন-পেমেন্ট (অর্থ দিয়ে) দিতে হবে। খরচটা দূতাবাসকে দিতে হবে। নিয়ম অনুযায়ী আমরা সেই ব্যবস্থা করবো। এ রকমই সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

কোনও দূতাবাস এভাবে নিরাপত্তা নিতে আবেদন করেছে কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তো মাত্র জানালাম, যার যার প্রয়োজন হবে জানাবে। সব দূতাবাসে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ রয়েছে। যে চার রাষ্ট্রদূতের কথা বললাম, তাদের গানম্যানও রয়েছে। সব ধরনের প্রোটেকশন রয়েছে। শুধু আমরা সড়কে যে নিরাপত্তা দিতাম, এটা শুধু প্রত্যাহার করা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে বিস্তারিত দিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

মন্ত্রীদের নিরাপত্তা কমানোর কথাও বলা হচ্ছে- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘কমাবো না আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যে গার্ড রেজিমেন্ট তৈরি করেছি; আমরা সবাইকে গার্ড রেজিমেন্টের সিকিউরিটিতে নিয়ে আসবো। আমরা পর্যায়ক্রমে মন্ত্রী ও ভিআইপিদের এ আনসার গার্ড রেজিমেন্ট দেবো।’

বান্দরবানে দুজন সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আর্মি বা বিজিবি এ বিষয়ে আপনাদের জানিয়ে দেবে। এটা আইএসপিআর থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে।