ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের যুদ্ধক্ষেত্র বাখমুতে রুশ বাহিনীর হামলায় মার্কিন সেনাবাহিনীর স্পেশাল ফোর্সের এক সাবেক সেনা নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার এক ভিডিওর মাধ্যমে তার মৃত্যুর বিষয়টি তুলে ধরেন রাশিয়ার প্রাইভেট মিলিটারি কোম্পানি ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রুশ বাহিনীর হামলায় বাখমুতে ধসে পড়া একটি ভবনে মার্কিন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত স্টাফ সার্জেন্ট নিকোলাস মাইমারের মরদেহ পাওয়া গেছে।

এনজিও প্রতিষ্ঠান এএফজিফ্রির প্রতিষ্ঠাতা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল পেরি ব্ল্যাকবার্ন জানান, নিহত নিকোলাস মাইমার তার প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। তিনি জানান, নিকোলাস মাইমার হয়তোবা ধসে পড়া ভবনে আটকা পড়েছিলেন অথবা রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মারা গেছেন।

মঙ্গলবার রাশিয়ার সামরিক ব্লগারদের পোস্ট করা এক ভিডিওতে ইয়েভজেনি প্রিগোজিন একটি ভবনের ধ্বংসস্তুপের মধ্যে পড়ে থাকা একজনের লাশ দেখান। এটি এক মার্কিন নাগরিকের লাশ বলে তিনি উল্লেখ করেন। এরপরই মার্কিন সাবেক এই সেনাকে চিহ্নিত করা হয়।

ভিডিও ক্লিপটিতে দেখা যায়, ওয়াগনার প্রধান রাতে তার লোকদের সঙ্গে হাঁটছেন এবং এ সময় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এটি কোথায় বা কখন ভিডিও করা হয়েছে তা জানা যায়নি।

লাশের পাশে দাঁড়িয়ে প্রিগোজিন বলেন, ‘তিনি আমাদের মোকাবিলা করতে এসেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।’ পুরো নাম উল্লেখ না করে প্রিগোজিন ক্যামেরাতে একটি সৈনিকের পরিচয়পত্র দেখান।

ওয়াগনার প্রধান বলেন, ‘আমরা তার মরদেহ যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে দেব। আমরা মার্কিন পতাকা দিয়ে জড়িয়ে একটি কফিনে মরদেহ রাখব। আর এসব করব সম্মানের সঙ্গে, কারণ তিনি দাদার বিছানায় মারা যাননি, তিনি মারা গেছেন যুদ্ধক্ষেত্রে।’

ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করতে মাইমারের পরিবারের সঙ্গে সিএনএনের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোন মন্তব্য করেনি। তবে মাইমারের চাচা পল আইডাহো ভিডিওটি দেখে মৃতদেহটি মাইমারের বলে নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।