অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে। এতে বহু সংখ্যক রোহিঙ্গা মুসলিমের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা, একটি ত্রাণ সংস্থা ও গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। এ ছাড়া কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমও জানিয়েছে, মোখার তাণ্ডবে মিয়ানমারে সম্ভবত শত শত লোকের প্রাণহানি হয়েছে।

যদিও মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম মোখায় দেশটিতে তিনজনের নিহতের খবর জানিয়েছে। তবে গত সোমবার রাতে মিয়ানমারের জান্তা সরকার রখাইনকে দূর্যোগপূর্ণ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংঘর্ষে ক্ষতবিক্ষত রাজ্য রাখাইনে গত রোববার ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২১০ কিলোমিটার বাতাসের বেগ নিয়ে আঘাত হানে মোখা। এতে করে রাজ্যটির রাজধানী সিত্তুয়ের ঘরবাড়ির ছাদ উড়ে যায়। সেইসঙ্গে শহরটি জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়।

বেসরকারি ত্রাণ সংস্থা (এনজিও) পার্টনার্স সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে জানিয়েছে, মোখার বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। সংস্থাটি বিভিন্ন জায়গায় থাকা তাদের লোকজনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটির পোস্ট করা ভিডিওতে ক্ষয়ক্ষতি দেখা যাচ্ছে।

রয়টার্স বলছে তারা নিরপেক্ষভাবে হতাহতের সংখ্যা যাচাই করতে পারেনি। এ ছাড়া মিয়ানমারভিত্তিক দ্য ইরাবতির খবরে, দেশটিতে মোখায় ৩৩ জনের নিহতের খবর বলা হয়েছে।

জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক সমন্বয়কারীর কার্যালয় (ইউএনওসিএইচএ) বলছে, সিত্তুয় ঘিরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাখাইনে কাজ করা পার্টনার্স রিলিফ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট জানিয়েছে, সিত্তুয়ের কাছে বসবাস করা রোহিঙ্গারা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলেছে তাদের ক্যাম্প প্রায় বিধ্বংস হয়েছে। এ ছাড়া এর আগে অনেকে জানায়, এতে কয়েক শত লোকের প্রাণহানি হয়েছে।

রোহিঙ্গা অ্যাক্টিভিস্ট ও ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্মেন্ট’স মিনিস্ট্রি অব হিউম্যান রাইটসের উপদেষ্টা অং কিয়াউ মো টুইটারে বলেছেন, শুধু সিত্তুয়েতে নিহতের সংখ্যা ৪০০ জন।

মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে বহু সংখ্যক রোহিঙ্গা মুসলিমের মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দা, একটি ত্রাণ সংস্থা ও গণমাধ্যম জানিয়েছে।

এ ছাড়া রয়টার্স তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি অনেক এলাকা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।