গত রোববার (১৪ মে) তুরস্কে অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশটির ঐতিহাসিক নির্বাচন। এতে দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ভোটার অংশ নিয়েছেন। তাছাড়া এত বড় নির্বাচনে কোনো দুর্নীতি, কারচুপি কিংবা অন্য কোনো অনিয়ম বা বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেনি।

বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম দেশটির এ নির্বাচনের প্রশংসা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ২৭ দেশের জোটটির কমিশনের (ইইউ কমিশন) প্রধান উরসুলা ফন ডের লেইন সোমবার তুরস্কের পার্লামেন্ট এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে উচ্চ ভোটার উপস্থিতির প্রশংসা করেন। এ ছাড়া জার্মানিও তুর্কি নির্বাচনের প্রশংসা করেছে।

তুর্কি সংবাদমাধ্যম ইয়েনি শাফাক জানিয়েছে, ভন ডের লেইন এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি মনে করি, এই নির্বাচনে ব্যাপক ভোটদান সত্যিই ভালো খবর।’

খবরে বলা হয়েছে, ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট ভোট দিতে যাওয়া এবং তারা যে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে মূল্য দেয়; সেটা দেখানোর জন্য তুর্কি নাগরিকদের প্রশংসা করেন।

নির্বাচনে উচ্চ অংশগ্রহণের হারকে ‘একটি বড় জয়’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন উরসুলা ফন। কারণ তার মতে, এটি একটি ‘খুব স্পষ্ট লক্ষণ যে, তুর্কি জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

তিনি বলেন, ইইউ রোববারের ভোটের আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা এবং আসন্ন দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বিষয়টি খুব নিবিড়ভাবে অনুসরণ করছে।

অপরদিকে জার্মান সরকারও তুরস্কের নির্বাচনে ব্যাপক ভোটদানকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা জোর দিয়ে বলেছে যে, এটি গণতান্ত্রিক মানদণ্ডের সঙ্গে খুব গুরুত্বভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

বার্লিনে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আন্দ্রেয়া সাসে বলেন, ‘উচ্চ ভোটদান প্রমাণ করেছে যে, তুর্কি নাগরিকরা গণতান্ত্রিক মানকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় এবং তা ব্যবহার করে।