ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বর্বর ইসরাইলের টানা দু’সপ্তাহের ত্রিমুখী হামলায় অন্তত ৫৭৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। প্রতি মুহূর্তেই দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি।
ইসরাইলি হামলায় অন্তত ৩,৬০০ জন আহত হয়েছেন।
নিহত ফিলিস্তিনিদের বিরাট অংশ হচ্ছে নারী, শিশু ও বয়স্ক মানুষ। এছাড়া অন্তত চারটি হাসপাতাল, ৩৪টি মসজিদ ও বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে ইহুদিবাদী ইসরাইল।
ইসরাইলি আগ্রাসনের কারণে অভ্যন্তরীণভাবে উদ্বাস্তু হয়েছেন গাজার এক লাখ মানুষ। ইহুদিবাদী সামরিক বাহিনী প্রায় ৩,০০০ বার বিমান হামলা চালিয়েছে।
সোমবারও মধ্য গাজার একটি হাসপাতলের ওপর বোমা বর্ষণ করেছে ইসরাইল। এতে নিহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন এবং আহত হন ৪০ জন।
গাজার অধিবাসীদের বিরাট অংশ ইসরাইলি আগ্রাসনের মুখে পানির কষ্টে পড়েছে। এছাড়া, ২৪ ঘণ্টায় মাত্র চার ঘণ্টা বিদ্যুতের সুবিধা পাচ্ছেন তারা।
এদিকে হামাসের হাতে ইসরাইলের সেনাবাহিনী অনেকটা পর্যুদস্ত হয়েছে। এরইমধ্যে ইসরাইলর হিসাব মতে ইহুদিবাদী সেনা নিহত হয়েছে ২৭ জন। তবে হামাসের হিসাবে এ সংখ্যা ৪২।
এছাড়া কয়েকজন বেসামরিক মানুষও মারা গেছে। তবে, ইসরাইলের রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তার কারণে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে গাজায় যখন ইসরাইলি সেনারা বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে তখন যুদ্ধবিরতির জন্য শুরু হয়েছে জোর প্রচেষ্টা। এরই অংশ হিসেবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি মিশর পৌঁছেছেন। তিনি শিগগিরি যুদ্ধবিরতির জন্য হামাসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
পাশাপাশি জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুনও মধ্যপ্রাচ্য সফর করছেন। তিনি তার ভাষায় গাজার সহিংসতা বন্ধের কথা বলেছেন।
যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনি ঐক্য সরকারের প্রধান মাহমুদ আব্বাস কাতার গেছেন হামাস নেতা খালেদ মাশআলের সঙ্গে আলোচনার জন্য।
সূত্র: প্রেস টিভি/এপি