বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের মামলায় প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমান ও দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের দেয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছে আদালত।
আজ (মঙ্গলবার) অভিযোগপত্র গ্রহণ করে মামলায় পলাতক তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারী। আদালত একইসঙ্গে আগামী ৫ এপ্রিল গ্রেপ্তারি পরোয়ানার তামিল সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেন।
যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে তারা হলেন- জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির সহকারী পুলিশ সুপার মো. হাসান আরাফাত প্রতিবেদন গত ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে (সিএমএম) এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় আসামি শফিক রেহমান ও দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ জামিনে মুক্ত আছেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, মামুনের ছেলে রিজভী আহাম্মেদ যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের কাছ থেকে সজীব ওয়াজেদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করেন এবং পরে তা অন্য আসামিদের সরবরাহ করেন। আর প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান এই ষড়যন্ত্রে অর্থ যোগানোর পাশাপাশি পরামর্শদাতা হিসেবে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ এনেছে পুলিশ।
গত ২০১৬ সালের ১৪ ডিসেম্বর মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরীর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন শফিক রেহমান। সর্বোচ্চ আদালতের আদেশে জামিনে মুক্তি পান যায়যায়দিনের সাবেক সম্পাদক। পরে হাকিম আদালত এ মামলায় তাকে পুলিশ প্রতিবেদন পর্যন্ত জামিন দেয়। পাঁচ মাস কারাগারে থাকার পর সর্বোচ্চ আদালতের আদেশে জামিনে মুক্তি পান যায়যায়দিনের সাবেক সম্পাদক। পরে হাকিম আদালত এ মামলায় তাকে পুলিশ প্রতিবেদন পর্যন্ত জামিন দেয়।
এ মামলার অপর আসামি খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান রাষ্ট্রদ্রোহের এক মামলায় ২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল ঢাকার কারওয়ান বাজারে আমার দেশ কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তার হন। পরে কারাবান্দি অবস্থায় ২০১৬ সালের এপ্রিলে তাকে জয়কে অপহরণ ষড়যন্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সাড়ে তিন বছর জেলে থাকার পর ২০১৬ সালের নভেম্বরে মাহমুদুর রহমানও জামিনে মুক্তি পান।