অরুণাচল নিয়ে ভারত ও চীনের বিতর্ক দীর্ঘদিনের। চীন অরুণাচলকে তিব্বতের অংশ বলে মনে করে। সে কারণেই কি তারা জি২০ বৈঠকে যোগ দিল না? চীন কেন বৈঠকে যোগ দেয়নি, অরুণাচলের বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, এর কোনো কিছুই জানানো হয়নি। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বৈঠক নিয়ে গণমাধ্যমের সামনে কোনো কথা বলা হবে না। চীন কেন শেষ মুহূর্তে বৈঠকে যোগ দেয়নি, সে বিষয়েও ভারত এদিন কোনো মন্তব্য করেনি। চীনও এ বিষয়ে কোনো বিবৃতি জারি করেনি।

রবিবার অরুণাচলের ইটানগরে জি২০ গোষ্ঠীর একটি প্রস্তুতি বৈঠক ছিল। একাধিক দেশের প্রায় ৫০ জন প্রতিনিধি সেই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। বৈঠকের বিষয় ছিল ‘রিসার্চ ইনোভেশন ইনিশিয়েটিভ, গ্যাদারিং’। কিন্তু সেখানে ঠিক কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, কারা কী বলেছেন, তা গণমাধ্যমকে জানানো হয়নি। এই বৈঠকে চীনের প্রতিনিধিদেরও যোগ দেওয়ার কথা ছিল।

সেপ্টেম্বরে জি২০ শীর্ষ বৈঠকের আগে ভারতের ৫০টি শহরে জি২০ প্রস্তুতি বৈঠক শুরু হয়েছে। বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা সেখানে যোগ দিচ্ছেন। ভারতের অন্য শহরে চীনের প্রতিনিধিরা বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন। কিন্তু অরুণাচলে শেষ মুহূর্তে তারা যোগ দেওয়া বাতিল করেছেন।

চীন সব সময় বলে, অরুণাচল তিব্বতের অংশ। অর্থাৎ, ভারত নয়, উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যটি চীনের অংশ। স্বাভাবিকভাবেই ভারত এই দাবি মানে না। ভারত ১৯৫০ সালে ভারত-তিব্বতের মধ্যে আলোচিত ম্যাকমোহন লাইনকে সীমান্ত হিসেবে গণ্য করে। ফলে অরুণাচল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিষয়টি নিয়ে চীনের সঙ্গে ভারতের সংঘাত বহুদিনের। ষাটের দশকে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধও হয়েছে।

সম্প্রতি অরুণাচল সীমান্তে চীন বেশ কিছু সামরিক কাঠামো তৈরি করেছে। শুধু তা-ই নয়, একটি রেললাইন একেবারে সীমান্তের ধার পর্যন্ত তৈরি করা হয়েছে। এনিয়ে ভারতের সঙ্গে চীনের নতুন করে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। তারই মধ্যে অরুণাচলে চীনের প্রতিনিধিদের বৈঠকে যোগ না দেওয়ার বিষয়টি কূটনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

রাকিব/ এখন সময়