ইউক্রেনের পূর্বের শহর বাখমুতে দীর্ঘদিন ধরে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর সঙ্গে রাশিয়ার বেসরকারি সেনাবাহিনী ওয়াগনারের তীব্র লড়াই হচ্ছে। সম্প্রতি রাশিয়া দাবি করেছে, বাখমুত ঘিরে ফেলেছে ওয়াগনার সেনাবাহিনী। এবার তারা শহরের ভেতরে প্রবেশ করবে। কিন্তু বাস্তবে রাশিয়ার দাবি মিথ্যা বলে দাবি করেছে কিয়েভ। তাদের বক্তব্য, ওই গোটা এলাকা এখনো ইউক্রেনের হাতেই আছে। এই খবরের সত্যতা যাচাই করা যায়নি।

দ্বিতীয় বছরের প্রথম সপ্তাহে প্রবেশ করেছে ইউক্রেন যুদ্ধ। গত বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়া প্রথম আক্রমণ চালিয়েছিল। রবিবার কিয়েভের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ওয়াগনার দাবি করছে, তারা পূর্ব ইউক্রেনের ইয়াহিদনে গ্রমটি দখল করেছে। সেখান থেকে তারা বাখমুত শহরে প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে এমন কিছু ঘটেনি। ইয়াহিদনে এখনো ইউক্রেনের হাতেই আছে।

ওয়াগনারের প্রধান শনিবার জানিয়েছিলেন, ইয়াহিদনে তাদের হাতে চলে এসেছে। তার একদিন আগে পার্শ্ববর্তী বারখিভকা নিয়েও একই দাবি করেছিলেন তিনি। আসলে, পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়া নতুন করে আক্রমণ শুরু করেছে। রুশ সেনাবাহিনীর পাশাপাশি ওয়াগনার সেনারাও প্রবল লড়াই চালাচ্ছে। তবে ইউক্রেনের দাবি, এখনো পর্যন্ত তারা রাশিয়ার সেনাবাহিনীকে আটকে রাখতে পেরেছে।

বাখমুতে এক সময় প্রায় ৭০ হাজার মানুষ বসবাস করতেন। গত এক বছরে তা কমতে কমতে পাঁচ হাজারে এসে দাঁড়িয়েছে। যারা আছেন, তারাও উপায় নেই বলে সেখানে থাকতে বাধ্য হয়েছেন। গোটা শহরটি কার্যত এক ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে। বিদ্যুৎ নেই, পানি নেই। তারই মধ্যে সারা দিন ধরে গোলাবর্ষণ হচ্ছে। রাশিয়া প্রাণপণে শহরটি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। বস্তুত, দনেৎস্ক অঞ্চলের একাধিক জায়গা নতুন করে দখলের চেষ্টায় রাশিয়া।

পুটিনের দাবি, ইউক্রেনকে অস্ত্র পাঠিয়ে পশ্চিমারা সবচেয়ে বড় অন্যায় করেছে। একই সঙ্গে এদিন ন্যাটোকেও তুলোধোনা করেছেন পুতিন। ন্যাটোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারেরও হুমকি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। তবে একথা তিনি আগেও বলেছিলেন। এদিকে যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দাদের দাবি, সম্প্রতি রাশিয়ার এলিট ফোর্সের বহু সেনা ইউক্রেনে নিহত হয়েছেন। দনেৎস্কের লড়াই তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে যুক্তরাজ্যের দাবি। যদিও রাশিয়া এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

রাকিব/এখন সময়