ডিআরএস নিয়ে স্থায়ী সমাধান করার কথা জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। ডিআরএস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চার বছরের চুক্তি করেছে বিসিবি। ২০২৭ পর্যন্ত এ চুক্তি করেছে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ডিআরএস নিয়ে তেমন সমস্যা হয় না। প্রোডাকশন থেকেই ডিআরএস ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু বিপিএলে শেষ দুই আসরে ডিআরএস নিয়ে ঝামেলায় পড়েছে আয়োজকরা। চাহিদা বেশি থাকায় ডিআরএস ব্যবহার করতে পারেনি। যন্ত্রপাতি থাকলেও টেকনিশিয়ান না থাকায় প্লে-অফের আগ পর্যন্ত ডিআরএস পায়নি বিপিএল। এডিআরএস দিয়ে কাজ চালাতে হয়েছে যা নিয়ে চরম বিতর্ক দেখা দেয়।

সামনে কোনো ধরণের সমস্যা হবে না জানিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন বলেছেন, ‘আসছে দুটি সিরিজে ডিআরএস তো থাকছেই, বিপিএলেও আগামী চার বছর ডিআরএস পেতে আর কোন সমস্যা হবে না। অবশ্যই ডিআরএস থাকবে (ইংল্যান্ড সিরিজে)। ডিআরএস নিয়ে তো অনেক কথা হয়েছে। অনেক বিষয় এসেছে। ডিআরএসটা হচ্ছে আমাদের প্রোডাকশনের একটা অংশ। আগে যখন ডিআরএস ছিল না তখন কিন্তু আইসিসি ইভেন্টও হয়েছে। কিন্তু এই প্রযুক্তি আসার পর আইসিসি ডিআরএসটাকে সব আইসিসি ইভেন্টের জন্য বাধ্যতামূলক করে দিয়েছে। ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় আমাদের চেষ্টা ছিল ডিআরএসটাকে আনার। আমরা চেষ্টা করেছিলাম ডিআরএসটাকে আমাদের প্রোডাকশন টিমের হাতে দিয়েছিলাম। এই জিনিসটা থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি। আমরা দীর্ঘ মেয়াদে যাচ্ছি।’

‘সরাসরি যারা ডিআরএস সার্ভিসটা দিয়ে থাকে, তাদের সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদী চুক্তি করেছি, ২০২৭ সাল পর্যন্ত। বাংলাদেশে যে আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেট (বিপিএল) হবে, সেখানে এখন থেকে সবসময় ডিআরএস থাকবে।’ – যোগ করেন তিনি।

বর্তমান সময়ে ডিআরএস ছাড়া ক্রিকেট চিন্তাও করা যায় না। বল ট্র্যাকিং, হক আই, স্নিকোর সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত আরও নিখুঁত হচ্ছে। এজন‌্য খরচ করতে হয় বিপুল অর্থ। বিপিএলের শেষ চার ম‌্যাচের জন‌্য ডিআরএস আনতে বিসিবির খরচ হয়েছিল প্রায় ৬৫ লাখ টাকা।

রাকিব/এখন সময়