বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে একটি মানহানি মামলায় অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২ নভেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার এ মামলায় অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল।
কাদের সিদ্দিকী আদালতে হাজির না হওয়ায় তার আইনজীবীর সময়ের আবেদনের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম (এমএম) আলী মাসুদ শেখ এ দিন ধার্য করেন।
এর আগে ২০১৪ সালের ১১ নভেম্বর একই আদালত কাদের সিদ্দিকী হাজির না হওয়ায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। ২০১৩ সালের ১৮ মার্চ ঢাকা মহানগর হাকিম সাইফুর রহমান তার জামিন মঞ্জুর করেন। এ জামিন মঞ্জুর হওয়ার পর থেকে (আজ)ধার্য তারিখ পর্যন্ত তিনি আদালতে হাজির হননি।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে বক্তব্যে কাদের সিদ্দিকী তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘রাজাকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেখে যুদ্ধাপরাধীর বিচার সম্ভব নয়।’ বঙ্গবীর বলেন, ‘৭১ সালে ম খা আলমগীর ময়মনসিংহের এডিসি ছিলেন। রাজাকারদের পক্ষে কাজ করেছেন তিনি আমি তার সাক্ষী।’
ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে সামাজিক, মানসিক, আর্থিক ও সাংগঠনিকভাবে হেয় করার জন্য সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক কাদের সিদ্দিকী এ বক্তব্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন মজুমদার। এ বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি ২০১৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল এফ এস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে লিখিত প্রতিবাদ ও উকিল নোটিশ পাঠান।
কিন্তু কাদের সিদ্দিকী উকিল নোটিশের কোনো উত্তর না দেওয়ায় রুহুল আমিন মজুমদার ওই বছর ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর আদালতে দুইশত কোটি টাকার এ মানহানি মামলাটি দায়ের করেন।