জাপানের একটি জনহীন রেলওয়ে স্টেশন শুধুমাত্র একজন ছাত্রীর জন্য এখনো চালু রয়েছে। যাতে সে ঠিক সময়ে স্কুলে পৌঁছতে পারে।
জায়গাটি জাপানের হোক্কাইডো দ্বীপের একদম উত্তর প্রান্তের কামি শিরাতাকি স্টেশন।
একটু রাত বাড়লেই পৌঁছনোর কোনো রাস্তা নেই। এমনকী দিনের বেলাতেও পৌঁছতে সমস্যায় পড়তে হয়। কারণ স্টেশন থাকলেও দাঁড়ায় সাকূল্যে কয়েকটি ট্রেন।
আর রাত হলে তো ট্রেনের দেখা মেলার প্রশ্নই ওঠে না। এই অবস্থা দেখতে দেখতেই আমরা অভ্যস্ত। শিরোনামে আসে ট্রেন থামা ও নতুন ট্রেন চালুর দাবিতে বিক্ষোভের ছবি। হাজার হাজার মানুষের সুবিধা-অসুবিধার কথা অনেক সময় ভাবাই হয় না।
এরকম একটা সময়ে দাঁড়িয়ে সামনে এল একেবারে অন্য ছবি। তবে এদেশে নয়, জাপানে। মাত্র একজন ছাত্রীর জন্য সেখানে চালু রয়েছে আস্ত একটি রেলস্টেশন। আর মেয়েটির ঘড়ি ধরেই স্টেশনে ঢোকে ট্রেনটি।
জাপানের হোক্কাইডো দ্বীপের এক প্রান্তে কামি শিরাতাকি স্টেশন। আগে এই স্টেশনে একাধিক ট্রেন দাঁড়াত। কিন্তু, যাত্রী কোথায়! এরপরই এই স্টেশনটি বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জাপান রেলওয়ে।
তখনই বিষয়টি নজরে আসে রেল কর্মকর্তাদের। ছুটির দিন বাদে স্টেশন থেকে প্রতিদিনই একজন ট্রেনে ওঠে। সেখান থেকে ট্রেনে চড়েই স্কুলে যায় একটি মেয়ে। ট্রেন না চললে তার স্কুলে পৌঁছতে কষ্ট হবে। তাই মেয়েটির পড়ালেখার কথা চিন্তা করে সেই স্টেশনটি চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
তবে, ট্রেনের টাইমটেবিল দেখে স্টেশনে আসে না মেয়েটি। তার স্কুলে যাওয়ার সময় অনুযায়ী স্টেশনে ট্রেন ঢোকে। সারাদিনে একটি ট্রেনই এই স্টেশন দিয়ে চলাচল করে।
আর তাকে স্কুলে পৌঁছে দেয়া ও বিকেলে ফের স্টেশনে নামিয়ে দিয়ে যাওয়াই এখন ওই ট্রেনটির কাজ। যতদিন না সে স্নাতক হচ্ছে ততদিন এই পরিষেবা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সূত্র: টাইম অব ইন্ডিয়া